ঢাকা

প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করাই লিমার নেশা

লুৎফুন্নাহার লিমার ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় সর্বস্ব হারাতে বসেছেন রাসেল নামের এক ব্যক্তি। পাওনা টাকা চাইলে উল্টো ধর্ষণ মামলার ভয় দেখান এই নারী।

সমাজের হাইপ্রোফাইলের মেয়ে হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করাই লিমার নেশা বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী রাসেলের। ভুক্তভোগী রাসেল বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই নারী হাতিয়ে নিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা। সেই সাথে কাজের গ্যারান্টি হিসেবে দেন ও একটি চেক। আর চাকরি দিতে পারেনি লিমা , চেক তুলতে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক বলে এই অ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই, তারপরে যোগাযোগ করা হয় লিমার সাথে সে টাকা দিতে অস্বীকার করে।

এর পর রাসেল উকিল নোটিশ পাঠায় লিমাকে। রাসেল জানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে হয় সালিশ কিন্তু টাকা ফেরত দিতে রাজি না লিমা। এমনটাই জানান এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর বলছেন এই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। অনেকে নানাভাবে প্রতারিত হলেও মানসম্মানের ভয়ে মুখ খোলেননি অনেকে। তবে অনতিবিলম্বে এই প্রতারক লিমাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি স্থানীয়দের।

 

এর আগে আনোয়ার হোসেন নামে আরেক আইনজীবীর সাথেও প্রতারণা করেন এই নারী। ২০১১ সালে এক আইনজীবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই নারী।আঁট বছরের সংসারজীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তানও আছে। সেটিও ছিল একই ছকে বাঁধা। সমাজে প্রভাবশালী আইনজীবীর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতেই একরকম ফাঁদে ফেলে তাকে বিয়ে করেন এই নারী, বললেন এই আইনজীবী আনোয়ার হোসেন নিজেই।

 

এই সবকিছু গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সয়োনকে, কাবিননামায় নিজেকে পরিচয় দেন কুমারী । সয়োন বলেন একই ভাবে তার সাথে প্রতারণা করেছে, তাকে বিয়ে করে ঝামেলা করছে সংসার জীবনে। তিনি আরো বলেন আমাকে ছেড়ে অন্য একটা ছেলেকে নিয়ে কক্সবাজারে চলে গেছে বাসা থেকে পালিয়ে লক্ষ টাকা এবং শোনা গয়না নিয়ে এখন আর তার কোন হদিস পাই না । আর এখন আমার লাখ টাকা ফেরত চাইলে মামলার হুমকি দেয়।

বহু চেষ্টার করে মোবাইলে যোগাযোগের পর লিমা বলেন এসব বিষয় নিয়ে আমি কথা বলবো না।

Related Articles

Back to top button