মাদক ও ইয়াবা কারবারী সন্ত্রাসী আল মামুন সরদার কর্তৃক জবর দখল করে আমার নিজ বাড়ির দুইটি ফ্ল্যাট জোর পূর্বক ভূয়া চুক্তিপত্র দাখিল করে ও বিভিন্ন সন্ত্রসী কর্মকান্ড পরিচালনা এবং আমার ও আমার পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
সাগর-রুনী মিলনায়তন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, তাং-২৩/০৬/২০২১, সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিট।
তিনি বলেন মোঃ মনিরুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত আয়ুব আলী মাস্টার, সাংঃ বাসা নং ডি- ৩৫/৫, গেন্ডা, থানাঃ সাভার, জেলাঃ ঢাকা। সন্ত্রাসী, মাদক ও ইয়াবা কারবারী আল মামুন সরদার ও তার মামা সাইদুর রহমান আমার নিজ বাড়ির ২টি ইউনিট জবর দখল করে আছে। ভূয়া চুক্তিপত্র দাখিল, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা এবং আমার প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।
পরস্পর যোগসাজসে সে এবং তার মামা সাইদুর রহমান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতারণা পূর্বক অপরাধমূলক ভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ করে ও জালিয়াতির মাধ্যমে স্বাক্ষর নকল করে ভূয়া স্ট্যাম্প তৈরী করে। এবং ভাড়াটিয়া হিসাবে আমার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে মালিক হিসাবে দাবি করে।
মাদক কারবারী আলমামুন সরদার, পিতাঃ আবুল কাশেম, সাংঃ বাসা নং ডি- ৩৫/৫, গেন্ডা, থানাঃ সাভার, জেলাঃ ঢাকা (ভাড়াটিয়া)। ফ্ল্যাটটি না ছাড়ায় এবং আমাকে ভয় ভীতি দেখানো এবং মার-ধর করাকে কেন্দ্র করে আমি সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং- ৩২, তারিখ – ১১/০৬/২০২১ইং।
উক্ত মামলায় সাভার মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হইয়া আসামি আল মামুন সরদার জেল হাজতে আটক রহিয়াছে। উল্লেখিত বিবাদী জেল হাজতে আটক থাকাবস্থায় কয়েকদিন যাবত তার মামার মারফতে আমার এবং আমার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসিতেছে।
আসামি আল মামুন সরদার এবং তার মামা সাইদুর রহমানের পরিকল্পনা ও নির্দেশে অদ্য ১৮/০৬/২০২১ইং তারিখ আনুমানিক বেলা ১১:৩০ ঘটিকায় তাদের সহযোগী দুধুর্ষ সন্ত্রাসী রাসেল, শাহিন, নাজমুল গং সহ অজ্ঞাতানা আরও ৪/৫ জন আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে আসিলে আমাদের উভয়কেই রক্তাত্ব জখম করে এবং ঘৃণিত ভাবে আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটায়। এরপর ৯৯৯- এ ফোন করিলে পুলিশ এসে আমাদেরকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। এমতাবস্থায় আমাকে এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে জরুরী চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ঐখানে সারাদিন বিশ্রাম করিয়া সন্ধায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি। ৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সাভার থানার কোন সহযোগীতা আমি পাইনি এমনকি আসামিগণ আমাকে আমার বাসায় আসিয়া প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে।
আমি আসামিগণের ভয়ে আমার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তাদের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আছি। আমি এবং আমার পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে প্রশাসন, সাংবাদিক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা কামনা করছি। মাদক ব্যবসায়ী আল মামুন সরদারের সন্ত্রাসী কর্ম-কান্ডের গড-ফাদার সাইদুর রহমান।
সাইদুর রহমান কিছুদিন আগেও ছিল সাদামাটা গার্মেন্টস কর্মী। সাইদুর রহমান হঠাৎ করে নাম পরিবর্তন করে হয় শেখ সাইদ। পরিচয় দিতে থাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়। শুরু করে ইয়াবার ব্যবসা। ১০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া গার্মেন্টস কর্মী হঠাৎ হয়ে যায় কোটিপতি। সাভারে সবার কাছে বলে, ‘আমি শেখ পরিবারের শেখ সাইদ’। শুরু করে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, জমি দখল, বাড়িদখল, সহ অবৈধ কার্যকলাপ।