খেলাধুলালিড

সুযোগ পেয়ে নিজের সেরটা দিতে পারাই দারুণ খুশি সৌম্য

 

নিজেই নিজেকে হারিয়ে খুজছিলে সৌম্য। ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা সৌম্য বাদ পড়লেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে টেস্ট ও ওয়ানডে দল থেকে। জায়গা পেয়ে যায় টি-২০ স্কোয়াডে। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগায় বা-হাঁতি এই ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই হাফসেঞ্চুরিতে শীর্ষ রান সংগ্রাহক হয়ে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তিন ম্যাচে দুই হাফসেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ১২৬ রান। বল হাতেও নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তাই রবিবার শেষ টি-২০তে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পাশাপাশি হয়েছেন সিরিজ সেরাও।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে সৌম্য বলেছেন, ‘সিরিজ সেরা হয়ে অনুভূতি ভালো। ভালো খেলেছি, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। পজিশন নিয়ে আমি চিন্তা করিনি। চেষ্টা ছিল যখন সুযোগ পাবো, নিজের সেরাটা দিতে পারলে আমার জন্য খুব ভালো হবে। ওটাই মাথায় ছিল সব সময়।’

শুরুতে কিছুটা ধীরস্থির ভাবে ব্যাটিং করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন সৌম্য। শুরুতে স্লো ব্যাটিং করার কারণ জানাতে গিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘নতুন বলে কিছুটা ভ্যারিয়েশেন ছিল। তখন চিন্তা করেছি, এখন জোড়াজুড়ি না অপেক্ষা করি। একটা ওভারে বড় রান নিতে পারলে মোমেন্টামটা আমাদের দিকে আসবে। এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর প্রত্যেক ওভারে একটা করে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করেছি।’

সৌম্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত বোলিংও করেছেন। রবিবার তো জিম্বাবুয়ের দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নেন তিনি। নিজের অলরাউন্ডস পারফরম্যান্সের ব্যাপারে বলতে গিয়ে সৌম্য বলেছেন, ‘ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব সময়ই করা হয়। এত ভালোভাবে (তিন বিভাগে) কখনো সুযোগ পাওয়া হয়নি। ফিল্ডিংয়ে সব সময় চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার। আর বোলিংয়ে যে কয় ওভারই পেয়েছি, চেষ্টা করেছি ভালো করতে।’

দলে তামিম, মুশফিক ছিলেন না। ইনজুরিতে লিটন ও মোস্তাফিজও ছিল না। তারপরও ২-১ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। পুরো দল পেলে সিরিজটি আরও ভালো ভাবে শেষ করতে পারতেন বলে মনে করেন সৌম্য, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনেক আক্রমণাত্মক থাকতে হয়, ইতিবাচক থাকতে হয়। যারা ছিল না ওদের কথা চিন্তা করলে তো হবে না, যারা ছিল ওরা সবাই সবার সেরাটা দিয়েছে। অবশ্যই আমরা তাদেরকেও মিস করেছি। আমাদের মূল ১১ জন খেলতে পারলে সিরিজটা আরও ভালো ভাবে শেষ করা যেত।’

পাশাপাশি শামীমের ব্যাটিং স্কিল নিয়ে সৌম্য বলেছেন, ‘শামীমের ব্যাটিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ওর ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক দিক আছে। একটা ক্ষুধার্ত মনোভাব ছিল যে, ম্যাচটা ও জেতাবে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ফিনিশ করে এসেছে।’

Related Articles

Back to top button