জাতীয়

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালকের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

কক্সবাজারের উখিয়ায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ। তিনি মঙ্গলবার সকালে (২২ জুন) ক্যাম্প-৯ নম্বরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। মানবিক বিপর্যয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান, সংস্থাটির অপারেশন্স এর পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মকবুল হোসেন, ব্র্যাক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হকসিহ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এছাড়া ক্যাম্পে অবস্থানকালে তিনি বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিট্যান্স ফেড্রা মুন মরিস এর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তিনি ক্যাম্প-৯ এর ব্লক-এইচ এর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত লার্নিং সেন্টার, একই ব্লকের হেলথ পোস্ট, ব্লক-এ এর ওয়াটার নেটওয়ার্ক স্টেশন, ক্যাম্প-৮-ইতে অবস্থিত কিশোর-কিশোরী সেন্টার ঘুরে দেখেন। তিনি রোহিঙ্গা ইয়ুথ গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন।

এছাড়া তিনি ব্র্যাক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে কোনো দুর্যোগে কিংবা মানবিক বিপর্যয়ে ব্র্যাক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। সম্প্রতি ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনায়ও ব্র্যাক সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ক্যাম্পে আগুন লাগার পর পরই সরকারের সহযোগিতায় আমরা পানি, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসনসহ জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করি।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোহিঙ্গাদের মাঝে এই সকল জরুরি সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এজন্য কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

এদিকে ২৩ জুন সকালে কক্সবাজারের এইচসিএমপির কার্যালয়ের এনেক্স-১ ভবনের কনফারেন্স কক্ষে সীমিত পরিসরে ব্র্যাক এইচসিএমপির ইউনিট লিডদের সঙ্গে জরুরি সভায় মিলিত হন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি ব্র্যাক কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি এলাকায় ৮ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৯ হাজারের বেশি ঘর পুড়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা।

Related Articles

Back to top button