সারাবাংলা

বেঁচে থাকার তাগিদে লকডাউন মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক ও খাবারের অভাবে জনসাধারণ

 

তারিকুল জুয়েল, স্টাফ রিপোর্টারঃ চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব ধরনের বিপণিবিতান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা ও বেঁচাকেনা চলছে দেধারে । বাজারের সড়কগুলোতে রয়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়। এ চিত্র মানিকগঞ্জের ঝিটকা বাজারের।
করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে সাড়া দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সোমবার সকাল থেকে তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে গতকাল ধরে মানিকগঞ্জের ঝিটকা বাজারে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জের ঝিটকা বাজারে বিপণিবিতান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝিটকা বাজার ঘুরে দেখা যায়, হরিরামপুরের মোড়, টলার ঘাট, ইছামতী নদীর পাড়সহ বিভিন্ন বাজার-ঘাটে জনসাধারণের ব্যাপক ভিড়। বাজারের প্রতিটি সড়কে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য চোখে পড়ার মতো।
ফয়সাল আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের কোথাও কার্যকর লকডাউন নেই। দোকানপাট খোলা। যানবাহন চলছে। প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। সরকার একদিকে লকডাউনের কথা বলছে, অন্য দিকে সবকিছু চলছে আগের নিয়মে। এ লকডাউন হাসি-তামাশায় পরিণত হয়েছে।
ঝিটকা বাজারের কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি, কাঁচা সবজি,মাছ, চাউল, বিক্রির সকল দোকানে গিয়ে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। মুখে মাস্ক ছাড়াই ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন বিক্রেতারা ।
ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে জানান, বেঁচে থাকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। গত বছর থেকে লকডাউনের ফলে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। এক বছর ধরে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন পালনের জন্য প্রশাসন ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে । ১লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউন পালন করা হবে।

Related Articles

Back to top button