অপরাধ ও দূর্ঘটনাপ্রশাসনলিডসারাবাংলা

জিএমপিঃ শিশু অপহরণের ০৯ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ও ০২ জন আসামী গ্রেফতার

এস এম লুৎফর রহমান, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর

মোঃ মতিউর রহমান (৩৫), পিতা-মোঃ ইকরামুল হক, মাতা-শাহের বানু, স্থায়ী- গ্রামঃ ধর্মদাহ, ইউপি-আদাবাড়িয়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া বর্তমানে গ্রাম-উত্তর আউচপাড়া, খাঁ-পাড়া রোড, হাসান মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-টঙ্গী পশ্চিম, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর এর ছেলে হাবিবুর রহমান মুছা(১০) গতকাল ১৩/১২/২০২১খ্রিঃ বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার সময় রসুলবাগে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে আর নিজ বাসায় ফিরে না আসায় সন্ধ্যা ০৫.৩০ ঘটিকার সময় সম্ভাব্য সকল স্থানে তার বাবা খোঁজ খবর নিতে থাকে। এর একপর্যায়ে সন্ধ্যা ০৬.০০ ঘটিকার দিকে মোবাইলে মুছার বাবার নিকট খবর আসে “আপনার ছেলেকে আমরা অপহরণ করেছি এবং মুক্তিপন হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। যদি টাকা না দেয় আপনার ছেলেকে আমরা প্রানে মেরে ফেলবো”।
এই ঘটনায় অপহৃতের বাবা দ্রুত টঙ্গী পশ্চিম থানাকে জানায়। টঙ্গী পশ্চিম থানা বিষয়টি অবহিত হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) বিভাগ মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি চৌকস টিম অপহৃত শিশুকে উদ্ধার এবং অপহৃতদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে। ভিকটিমের বাবার জবাবন্দি পর্যালোচনা এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষন করে অপহৃত শিশু মুছাকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া সাকিনস্থ কলেজ রোড, হাউজ বিল্ডিং এলাকার জিয়াউর রহমান এর বাসার ছাদ থেকে থেকে কাথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় অদ্য ১৪/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ রাত ০৩.০০ ঘটিকায় সময় উদ্ধার করা হয় এবং একই স্থান হইতে অপহরনকারী ১। মোঃ মিনহাজ উদ্দিন(১৯), পিতা-মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, মাতা-মোসাঃ আমেনা বেগম, সাং-গোয়ালেরচর (দালালপাড়া), থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর, বর্তমানে মধ্য আউচপাড়া, কলেজ রোড হাউজ বিল্ডিং এর পিছনে টঙ্গী পশ্চিম, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর, ২। মোঃ সুমন মিয়া(২০), পিতা-মোঃ সওদাগর শেখ, মাতা-মর্জিনা বেগম, সাং-গোয়ালেরচর (দালালপাড়া), থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদ্বয় আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং জানায় মুক্তিপনের আশায় অপহৃত শিশু মুছাকে তার বন্ধুর বাসায় চিনিয়ে দেওয়ার কথা বলে অটোরিক্সায় তুলে জোরপূর্বক অপহরণ করে এবং নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মুছার বাবার নিকট মোবাইলের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।

এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Related Articles

Back to top button