অপরাধ ও দূর্ঘটনালিড

আপোসে লঞ্চে ডাকাতি করে চলছে তো চলছেই

 

এম এ হানিফ রানা, স্টাফ রিপোর্টার

সময় কাল পাএ ভেদে ডাকাতির ফর্মুলা পাল্টেছে,, এখন আর কেউ শাবল কুদাল আর শরীরে তেল মেখে, মুখে কালো কাপড় পরে ডাকাতি করে না। যুগের সূথে সাথে তার চিএ পাল্টে হয়ছে আধুনিক ও স্মার্ট। সাথে যোগ হয়েছে ব্লাকমেইল জাতীয় ডাকাতির ফর্মুলা।

কিন্তু একটা ডাকাতি এখনো মোটামুটি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, আর তা হলো লঞ্চের ডাকাতি।
যদি আরো সহজ ভাবে বলি তবে বলতে হয় এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যাএীগন সেচ্ছায় ডাকাতি করতে দেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষদের। তাছাড়া কোন উপায়ও নাই,, তাই নিরবে নিভৃতে এবং আরামদায়ক চিন্তা মুক্ত ভাবে সেই মহা কর্মযজ্ঞ সুন্দর ভাবে পালন করে যাচ্ছে লঞ্চ মালিকেরা।
নদীপথে যাএা অনেক কম এবং আরামদায়ক। তাই নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষ এই নদী পথের যাএাটাকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু গতানুগতিক অনান্য পরিবহন এবং বাস ট্রেন নিয়ে লিখালিখি হলেও লঞ্চের দূর্নীতি নিয়ে তেমন লেখালেখি হয়নূ কারন অনেকের চোখ এড়িয়ে যায় এসব বিষয়।
এখানে ২ লিটারের একটা পানির মূল্য ৩০ টাকা লিখা থাকলেও তারা ৫০ টাকা নিচ্ছেন। আর বাধ্য হয়েই তা কিনতে হচ্ছে, এক লিটারের দাম নিচ্ছে ৩০ টাকা। এককাপ চা নিচ্ছে ১০ টাকা করে। পটেটো চিপস ১০ টাকা লিখা থাকলেও তা নেয়া হচ্ছে ১৮ টাকা। ডাল ভাজা ১০ টাকা নিচ্ছে, ছোট একটা পিছ কেক দোকানগুলোতে ৫ টাকা বিক্রি হলেও এখানে ১৫ টাকা , তেমনি ভাবে প্রতিটা সিগারেটের মূল্যও নেয়া হচ্ছে ৩-৫ টাকা বেশি করে। তাছারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পাক করলেও তার মূল্য আরও কয়েকগুণ বেশি। আর বড়রা না খেলেও ছোট ছোট বাচ্চাদের বাধ্য হয়েই কিনে দিতে হচ্ছে।
এমন ভাবেই বছরের পর বছর ধরে নিরবে নিভৃতে ডাকাতি করে পকেট কাটছে সাধারণ মানুষের। এই বিষয়ে দোকানিদের জিগ্যেস করলে তারা বলেন ভাই সবাই নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি। যার ভালো লাগে খাবে যার ভালো লাগেনা খাবেনা। আমরা তো কাওকে জোর করিনি। হুম সেটাও ঠিক তারা জোর করেনি। কিন্তু যাএীগন তো খেতেই হবে বাধ্য হয়ে। তাই সেচ্ছায় জল্লাদের ধারালো তলোয়ারের নিচে মাথা দিতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। সমগ্র দেশের দূর্নীতির চিএ তিলে ধরা জলেও এই নদীপথের দূর্নীতি গুলো তেমন সঠিক ভাবে তুলে ধরা হয় না। কিন্তু এরাও সমাজের এক ধরনের দূর্নীতিবাজ। কথায় আছে ” পরেছি মোরলের হাতে খানা খেতে হবে একসাথে ” তাই হচ্ছে বর্তমানের চিএ।

Related Articles

Back to top button