অপরাধ ও দূর্ঘটনানগরজীবনলাইফস্টাইলসারাবাংলা

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ যুব ও কিশোর সমাজের, মোবাইল আসক্ত হতে পারে অন্য নেশার জগৎ

 

এম এ হানিফ রানা, স্টাফ রিপোর্টার

ঘটনাটি ২১ মে। চাঁদপুরের মতলবের দক্ষিণ উপজেলার উপাদী গ্রামের মামুন নামের (১৪) এক কিশোরের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা আত্মহত্যা করে। ঐ সংসারে সেই ছিলো দুই বোনের মাঝে একমাএ ভাই। সে আত্মহত্যা করেছে তার মা এমবি কেনার জন্য টাকা না দেয়ার কারনে। কারন সেই একটাই এমবি কিনে ফ্রি ফায়ার খেলবে। সে মদ,গাঁজা, ইয়াবার মতোই আরেক নেশার জগৎ ফ্রি ফায়ার বা পাবজী জাতীয় গেমসে আসক্ত। টাকা পায়নি তাই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। শুধু মামুন নয় সমগ্র বাংলাদের একি চিএ এটি। তার জন্য দায় কেবল অভিবাবকদের নয়। দায় আছে পুরো সমাজের। আর এমন ঘটনা এখন প্রয়াসই ঘটতে দেখা যাচ্ছে।  করোনা মহামারিতে ঘরে বসে মোবাইলে ইন্টারনেটে বিভিন্ন পরিক্ষার এ্যাসাইন্টমেন্ট জমা নেয়া ও অনান্য পড়াশোনার জন্য কিনে দিতে হচ্ছে মোবাইল ফোন। তাও দামি এন্ড্রুয়েড মোবাইল। আর সেই শুরু। কোথায় থামবে তার কোন ইয়ক্তা নাই। এমন অনেক কারন আছে আমাদের যুব ও কিশোর সমাজ ধ্বংস হওয়ার জন্য।
করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের ১৮ মার্চে সরকারের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।দেশে সর্বত্র লকডাউনের কারনে কিশোর কিশোরীরা হয়ে পড়ে ঘর বন্ধী।ঘর বন্ধী সময়ে তারা সঙ্গী হিসাবে বেছে নেয় ফ্রি ফায়ার পাবজি গেমস কে।তারা সব সময় এই গেমস নিয়ে ব্যস্ত থাকে।পাঠ্য বই এখন তাদের আর ভালো লাগেনা।

আমরা এখন পত্র পত্রিকাতে দেখতে পাই গেমস খেলার জন্য এমবি কিনার টাকা না দেওয়ায় সন্তান পিতা মাতাকে হত্যার দৃশ্য,এমনকি এমবি কিনার টাকা না দেওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনা ও ঘটছে।পড়াশোনা বাদ দিয়ে গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে পিতামাতার সাথে সন্তানের ঝগড়া নিত্য দিনের ঘটনা।
এখন শুধু শহরে নয় গ্রামগঞ্জের প্রতিটি জায়গায় গেমসে আসক্তি কিশোরদের জটলা লক্ষ্য করা যায়।তারা এক জায়গায় জটলা বেধে গেমস খেলে। এ যেন মাদকাসক্তির চেয়ে বেশি মারাত্মক ।তারা আগেকার কিশোরদের মত আর খেলাধুলা করেনা। সারাদিন শুধু গেমস গেলে।বেশিরভাগ কিশোর কিশোরী রাত ২ টা-৩টা পর্যন্ত গেমস খেলে এবং সকালে ১০টা ১১টায় ঘুম থেকে উঠে।পড়ালেখার দ্বারে কাছেও যায়না।এভাবে আমাদের আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর তরুণ সমাজ এখন ধ্বংসের দাড়প্রান্তে।
গেমিং অ্যাডিকশন—অনলাইন, মোবাইল বা ভিডিও গেমে আসক্তিকে মনঃস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাদকাসক্তির মতো ইন্টারনেটে মাত্রাতিরিক্ত থাকা বা গেম খেলাও আসক্তি। এটা আচরণগত আসক্তি। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং সচেতনতা পারে আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর কিশোর কিশোরীদের কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে।
এই মোবাইল আসক্তি হতে পারে অন্য নেশার জগৎ থেকে আরো ভয়াবহ ও নির্মম। নেশাগ্রস্ত সমাজের একটা বড় অংশ হলো প্রাপ্ত বয়স্ক আর মোবাইল আসক্তি সমাজ হলো বাচ্চা, কিশোর থেকে শুরু। অনেক অভিবাবক লেখাপড়ার জ্ঞান না থাকার কারনে বুজেন না সন্তান কি করছেন। আবার অনেক অভিবাবক টাকা দিচ্ছেন ছেলের কিশোর মনের চাহিদা পূরণের জন্য। এখানেও এক শ্রেনির অভিবাবক দায়ী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এই সমস্যা থেকে উওরন পেতে হলে সমাজের কিছু মানুষের ভালো ভূমিকা নিতে হবে পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সচেতন মূলক বার্তা পৈাছে দিতে হবে। তাছারা মসজিদ,মন্দির,গির্জা, প্যাগোডা সহ ধর্মীয় উপশনালয়েও এর খারাপ দিকগুলো আলোচনা করা উচিত। তাহলে হয়তোবা একটা পরিবর্তন ঘটতে পারে।

Related Articles

Back to top button